ঘুম থাইকা উইঠাই চোখে পড়ল একটা নিউজ ।
নেত্রকোনার একটা পোলা! স্বপ্ন ছিল, প্রেম ছিল, একটা জীবন ছিল; সব ছিল। কিন্তু ময়মনসিংহের এক ছাত্রাবাসের রুমে গিয়ে শেষমেশ দড়িটা গলায় পরাইলো। কারন? একটা মাইয়া, যেই মাইয়ারে সে নিজের দুনিয়া মনে করতো।
মেয়েটা জামালপুরের আশেক মাহমুদ কলেজে পড়ে। সম্পর্কটা হইছিল ভালোই, মধুর মতো মিষ্টি। কিন্তু সমস্যা হইলো, মেয়ের পরিবার রাজি ছিল না। তারা চায় নাই এই পোলার সাথে মেয়ের বিয়ে হোক। সমাজ, স্ট্যাটাস; না জানি কী কী ফালতু কারন দেখাইলো।
সাব্বির সহ্য করতে পারে নাই। বুকের ভিতর আগুন জ্বলতেছিল, কিন্তু বাইরে থেকে কেউ বুঝে নাই। ময়মনসিংহের ছাত্রাবাসে থাকতো, হাসিখুশি থাকতো, কিন্তু ভিতরে ভিতরে মরতেছিল। কিছুদিন আগে শেষ চেষ্টাও করছিল, মেয়ের বড় ভাইয়ের সাথে দেখা করাইছিল মায়েরে নিয়া। কিন্তু লাভ হয় নাই, স্পষ্ট জানাইয়া দিছে “এই ছেলের সাথে বিয়ে দিবে না।”
এরপর সবকিছু থমকে গেল। ছেলেটা একা একা আরও ডিপ্রেশনে ডুবে গেল। শেষমেশ ঠিক করলো; শেষ, এইখানেই দ্যা এন্ড।
সোমবার বিকেলের দিকে রুমমেট বাসুইসাইড = বিগেস্ট লস প্রজেক্ট ,ইরে ছিল। এই সুযোগে দড়িটা গলায় পরাইলো। কয়েক মিনিটের মধ্যে সব শূন্য। নিঃশ্বাস বন্ধ, স্বপ্ন শেষ, প্রেমের গল্পটা হইলো ট্র্যাজেডি।
এখন পরিবার কান্নাকাটি করতেছে, বন্ধুবান্ধব হতভম্ব, মেয়েটা? সে হয়তো শোকে পাথর। কিন্তু যেই সমাজ, যেই ফ্যামিলি এই প্রেমটারে মেনে নিতে পারে নাই, তারা? তাদের কিচ্ছু যায় আসে নাই ভাই। তারা তো ঠিকই খাইতেছে, ঘুমাইতেছে, জীবন পার করতেছে।
এইটা শুধু সাব্বিরের গল্প না, এটা আরো অনেকের গল্প। যাদের প্রেম ছিল, যারা বুকের গভীরে কষ্ট লুকায়, যারা ভাবে; “এইবার সব শেষ, আর পারতেছি না!”
কিন্তু শোন ভাই, জীবন তো প্রেমের জন্য একা বসে নাই। যেই মেয়ের লাইগা তুই মরার কথা ভাবতেছিস, সে ঠিকই একদিন সামনে আগাবে, নতুন কাউরে ভালোবাসবে, হয়তো সুখেও থাকবে। কিন্তু তোর কী হবে? একবার ভাব, শেষ পর্যন্ত তুই তো নিজের হাতেই নিজের কফিনের পেরেক মারতেছিস!
জীবনে কষ্ট আসবেই, মন ভাঙবেই, কিন্তু মন ভাঙার মানে জীবন শেষ তো না, তাইনা? এই কষ্ট তোর জ্বালানি হওয়া উচিত, এই দুঃখ দিয়া এমন কিছু কর, যাতে একদিন যেই মানুষগুলা তোরে অবহেলা করছে, তারা আফসোস করে, ভাবে; “ওরে, আমরা বুঝতে পারি নাই!”
বেঁচে থাক, নিজের স্বপ্নগুলার জন্য, নিজের জন্য । নিজের থাইকা আপন কেউ আর নাই, হয়তে পারেনা । প্রেম থাকুক, না থাকুক, জীবন কিন্তু থামে না। সময় সব ঠিক কইরা দেয়, কষ্টও কমায়, শুধু অপেক্ষা দরকার। মরার কথা না ভাইবা, বরং এমন কিছু কর, যাতে যেই মেয়েটা ছাইড়া গেছে, সে একদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় তোর গল্প পড়ে নিজের কপাল চাপড়ায়। শেইম ব্র;