আসসালামুয়ালাইকুম, আপনারা কেমন আছেন? অনেকদিন প্রোডাক্টিভিটি ডেভেলপমেন্ট নিয়ে লেখা হয়না ( আসলে নিজেই নন প্রোডাক্টিভ হইয়া গেছি গা তো 😛,
তো, আসেন আজকে ব্রেইনের একটা সিক্রেট শেয়ার করি, কেমন? উহু, আগে ক্লিয়ার করে নেই বিষয়টা কি সম্পর্কে….অলরাইট, শেয়ার করতে চলেছি কোনো টপিকস সহজে মনে রাখা এবং অনেকদিন মনে রাখার ২টি সিম্পল এন্ড ইফেক্টটিভ টেকনিক নিয়ে ( যেগুলা পার্সোনালি আমি এপ্লাই করি, এন্ড একচুয়ালি এটা ট্রু )
আচ্ছা, বই তো কমবেশি সবাই পড়ি, এছাড়াও নানা টপিকস, ফেসবুক আসলে পোস্ট এগুলা আমাদের সবারই চোখে পড়ে । তো এসব আমাদের মাইন্ডে কতটুকু এবং কতদিন থাকে?
বল্টু : ধুর, আমি তো একটু পরেই ভুলে যায়, কোনভাবেই আর মনে করে উঠতে পারিনা । কি করা যায় , তাহসান ভাই?
তাহসান ভাই : এইটা কমন সমস্যা রে ভাই । নো পেরা, আমি কচি করে ২ টা সিম্পল টেকনিক দিচ্ছি, দেহেন তো আপনার সমস্যার সলিউশন টা পান কিনা!
১) ইন্টারেস্ট : এইটাই ফ্রাষ্ট প্রায়োরিটি পায় কেন জানেন? আমাদের ব্রেইন একচুয়ালি সবসময় তার ইন্টারেষ্ট কে সবচেয়ে বেশি প্রায়োরিটি দিয়ে থাকে, আর প্যারা শব্দটা তার কাছে বহুত শত্রু । আপনার সামনে এক্সাম, বই এর এটা ওটা এটা সেটা আকাশ ছোঁয়া লেখা গুলো মুখস্থ করতে হবে । এবং এটা অবশ্যই প্যারার জিনিস, আর বললাম ই ব্রেইন প্যারা শব্দটা পছন্দ করে নাহ একদমই। সো, এখানে সে এটাকে কোনভাবেই পাত্তা লাগাতে চাইবেনা । পড়ার টেবিলে ১০ মিনিট রে ১০ ঘন্টা মনে হবে এন্ড আপনার ব্রেইন সবসময় এটা হতে ছুটে পালাতে চাইবে । অপরদিকে আপনার ব্রেইন মুভি দেখা, গান শোনা কে বহুত পছন্দ করে । একটা মুভি দেখতে বসেন, গান শুনেন, দেখেন সময় কিভাবে চলে গেছে টেরই পাইবেন না । আপনার ব্রেইন আপনাকে আরো সাপোর্ট দিয়ে সামনে অগ্রসর করবে । সো, যেকোনো কিছু সহজে মনে রাখা এবং অনেকদিন ধরে রাখার জন্য অবশ্যই সেটা সম্পর্কে ইন্টারেস্ট তৈরি করতে হবে । জোরপূর্বক কোনো কিছু আপনি হাজার বার মনে রাখতে চাইলেও আপনার ব্রেইন সেটা অনেক শিঘ্রই তার মেমোরি হতে মুছে ফেলবে । আবার ইন্টারেস্টিং কোনো কিছু সে মেমোরি তে লক করে হলেও রাখবে । সো, আপনার ব্রেইন কে সেই বিষয়টাকে ইন্টারেস্টিং হিসেবে উপস্থাপন করুন ।
২) ভিজুয়ালাইজেসন: কোনোকিছু বহুদিন মনে রাখার ক্ষেত্রে আমাদের ব্রেইন আমাদের চোখ কে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে । বুঝতে কষ্ট হলো? অয়েল, আমি বোঝাতে চাইছি, কোনো বিষয় পড়ার চেয়ে সেই বিষয়ের বাস্তব চিত্র আমাদের ব্রেইন অনেক ইফেক্টিভ ভাবে ক্যাপচার করে থাকে । ধরেন, একটি সুন্দর স্টোরি আপনি বইয়ে পড়লেন এটা যতদিন মনে থাকবে অপরদিকে সেই সুন্দর স্টোরি টি আপনার সাথে বাস্তবে ঘটলে, সেটি অবশ্যই অনেক বেশি কার্যকর হবে । আপনার ব্রেইন অনেকদিন পর্যন্ত, বলা যায় আজীবন সেটাকে মনে রাখবে । তো, ভিজুয়ালস হলো কোন একটি বিষয়কে আপনার মাইন্ডে চিত্র বানিয়ে সেটাকে অনুভব করা । মনে করে দেখেন তো, সেই বছর আগে একটা মুভি দেখছিলেন আপনি । উম্ম কবে দেখেছিলেন সেটায় মনে নাই… তবে হ্যা মুভির কাহিনী টা কিন্তু এখনো ক্লিয়ার মনে আছে, তাইনা? হুম্ম, আর এই টেকনিক টাই আমরা ব্রেইনকে বোকা বানিয়ে নিজেদের কাজে খাটাবো । যখন কোনো বিষয় আপনি পড়বেন তখন সেটা একাধারে পড়তে না থেকে প্রথমে সেই টপিকস টি একবার পড়ুন, এবং সেই টপিকস এর ন্যায় আপনার মাইন্ডে একটি মুভি চিত্র বানিয়ে ফেলুন । আলাদা আলাদা ক্যারেক্টার বসান, এবং কোন কোন ক্যারেক্টার কি কি করলো এগুলা মুভির সিনের মতো মাইন্ডে ইমাজীন করুন । ট্রাষ্ট মি, এইভাবে আপনি সেই টপিকস কে খুব সহজেই অনেকদিন পর্যন্ত মনে রাখতে পারবেন ।
ফাইনাল ওয়ার্ডস: গোল > ইন্টারেস্ট > কনফিডেন্স > মাইন্ডসেট > মনোযোগ > ভিজুয়ালস