ম্যান এবং বয় শব্দ দুইটা শুনতে কিছুটা এক মনে হলেও, লিটারেলি দুইটা ভিন্ন জিনিস ।
ম্যান হইল পুরুষ শব্দের পরিপূর্ণ রুপ বা ভাব, আরেকদিকে বয় হইলো অপরিপূর্ণ, বাট দ্যা ওয়ে টু বি এ ম্যান ।
একজন পুরুষের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস হলো তার পারসোনালিটি । তারে দেইখাই বোঝা যাইবো সে পুরুষ নাকি বালক । সে কিভাবে হাটে, কিভাবে কথা কয়, কিভাবে রিয়েক্ট করে, সিচুয়েশন কিভাবে হ্যান্ডেল করে এসব দেইখাই তারে জাজ করা পজিবল । আমরা ইদানিং এই বিষয় গুলারে অতোটা প্রায়োরিটি দেইনা, কিন্তু আমি আপনারে বলছি ভাই, এই জিনিস টা আপনার লাইফে বিশাল ইমপ্যাক্ট ফেলবে ভাই । আমাদের স্কুল-কলেজে পরীক্ষায় পাস করা ছাড়া কিছু শেখানো হয়না ভাই, শেখানো হয়না কিভাবে লাইফে সফল হওয়া যায়, নিজের পারসোনালিটি কিভাবে ইনক্রিস করা যায় । এগুলা নিজেকে আয়ত্ত করে নিতে হবে ভাই ।
আমার ডেইলি লাইফে দেখা বালকদের ( পুরুষ বললাম না ) কিছু ছোট ছোট মিসটেক, যেগুলা আমাদের পারসোনালিটির ভ্যালু কমিয়ে দিচ্ছে, ফিজিক্যাল এন্ড মেন্টালি দুর্বল করতেছে –
১) মাথা নিচু করে অথবা কুঁজো হয়ে হাটা : এইটা ভেরি ভেরি কমন একটা জিনিস আজকাল কার দিনে । হাতের ফোন চোখের সামনে নিয়ে মাথা নিচু করে টিপতে টিপতে হাঁটতে দেখা যায় অগনিত ছেলেপেলেদের । এইটা খুবই বাজে অভ্যাস ভাই, আপনি যখন মাথা নিচু করে হাটেন তখন এইটা আপনার লো কনফিডেন্স এর সংকেত বহন করে, এছাড়া আপনার সামনের জনের কাছে সাবকন্সিয়াসলি আপনার ভ্যালু কম হয়ে যায় । এছাড়া ফিজিক্যাল ইস্যু তো আছেই, কুঁজো হয়ে হাটার ফলে আপনার স্পাইনাল বা মেরুদন্ডে প্রেশার পড়ে, যার ফলে ব্যাড পোসচার, স্পাইনাল পেইন, টেস্টোস্টেরন হরমোন রিলিজ বাধাগ্রস্ত ইত্যাদি সহ নানা সমস্যা হতে পারে । সো, “ওয়াক লাইক ইউ আর দ্যা কিং, অর ওয়াক লাইক ইউ ডোন্ট কেয়ার হু দ্যা কিং ইস” !
২) দেরি করে ঘুম হতে উঠা : গুড মর্নিং! কয়টা বাজে? মাত্র নয়টা বাজে ভাই🙂 উফফস !!! আচ্ছা, সবাই তো একটা কথা ভালো কইরাই জানি, সকালে ঘুম থেকে উঠা ভালো ( জন্মের পর হতেই শুইনা আসতেছি, মানছি কয়দিন? ) হ্যা, এটা আসলেই সত্য যা সকল ধর্মেই বর্নিত রয়েছে, এছাড়া বিজ্ঞান ও এটা প্রমান করেছে । আবারও বলছি, সকাল বেলা আমাদের ব্রেইন সবচেয়ে বেশি এক্টিব থাকে, এইসময়ে ব্রেইনের ফোকাস পাওয়ার সবচেয়ে বেশি থাকে, যেকোনো কিছু ব্রেইন সহজেই ক্যাপচার করতে পারে । তো, কাল থেকে আর্লি মর্নিং এ ফজর নামায পড়ে একটু প্রডাক্টিব কিছু করলে খুব কষ্ট হয়ে যাবে? আসেন, একসাথে চ্যালেন্জ নেই?
৩) ঘুমানোর আগে এবং ঘুম হতে জেগে উঠেই ফোন ইউজ করা : এইটা ইদানিং গড়ে ৯৫% মানুষ এর ডেইলি অভ্যাস । বাট, এইটা কতটা ক্ষতিকর জানেন? বিজ্ঞানের মতে, আমাদের সাবকন্সিয়াস মাইন্ড এই দুটি সময়েই সবচেয়ে বেশি এক্টিব থাকে, এই সময়ে করা যেকোনো জিনিস আমাদের ব্রেইন এবং মাইন্ড খুব ইজিলি একছেপ্ট করে নেয়, হোক সেটা ভালো অর মন্দ । আর সেই অনুযায়ী আমাদের মাইন্ড প্রোগ্রাম হয়ে থাকে । তো, আপনি যদি পজিটিভ মাইন্ডসেট চান, তাইলে এই সময় দুটোকে ফোন ইউজ না করে পজিটিভ কিছু করুন ( বই পড়া, লিখা, মেডিটেশন ইত্যাদি ) । সো, আজ থেকে ঘুমানোর ৩০ আগে এবং ওঠার ৩০ মিনিটের মাঝে ফোন ইউজ অফ । আমি বলছি, ইউর ব্রেইন উইল থ্যাংক ইউ ।
৪) রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা : এইটা খুবই শক্তিশালী একটা অস্র ভাই, আপনারে শেষ করে দিতে এনাফ । আমি ভাই বুঝছি একবার, রাগ কইরা নতুন ফোন ভাইঙ্গা জরিমানা লাগাইছি কয়েকবারই । তো মেইন পয়েন্ট, নেষ্ট টাইম রাগ নিয়ন্ত্রণে আনার চ্যালেঞ্জ নিন , আপনার ব্রেইন তখন হিট হবে, তারে ফ্রেশ করাবার লাইগা এক গ্লাস পানি পান করেন, দরকার পড়লে নদীর পাড়ে চইলা যান । তাও না পারলে, আয়নার সামনে গিয়া নিঃশব্দে চিল্লান । আই মিন যেইভাবেই হোক, কন্ট্রোল ইট !
৫) নিজের কষ্টের কথা সবার কাছে বলা : ভাই, এই দুনিয়ায় সবাই আপনার কষ্ট বুঝে আপনাকে শান্তনা দিবে এইডা মহা চরম ভূল ভাবনা । মানুষ আপনার কষ্টের কথা শুনবে তো ঠিকই, মাগার শান্তনাসরুপ উল্টা আপনারে ডাবল কষ্ট ফেরত দিবে, এইটাই রিয়েল ভাই । সো, নিজের কষ্ট নিজের কাছেই রাখেন, খুব বেশি হয়লে তাঁদের সাথে শেয়ার করেন, যারা আপনারে বোঝে, আপনার কেয়ার করে । আর আমার মতো এলোন হয়লে, ডাইরির পাতায় লেখেন, পড়েন, আগুনে জ্বালায় দেন । দ্যাটস ইট !
তো, এই ছিল কয়েকটা বিষয়, যেগুলা খুবই কমন এবং খুবই মারাত্মক লেভেলের আউটপুট ওয়ালা । একা একা হাঁটতে গিয়া মাথায় হঠাৎ এই টপিক আইছিল, লেইখা ফেলসি । কতদূর লেখছি, বানান ভুল হয়লো কিনা খেয়াল করিনাই, তবে হ্যা মশায় কামড় দিছে শখানেক । ভুল হয়লে ধরাই দিয়েন, আমার লাইফটাই ভুলে ভরা, সংশোধন করতে চাই ভাই !