একটা মানুষের বেসিক্যালি দুইটা চরিত্র থাকে
- ১) একটা সে নিজে দেখে,
- ২) মানুষ যেইটা দেখে ।
আর এই পৃথিবীতে মানুষ কে জাজ করা হয় ২ নাম্বার টা দিয়ে । কারন, এক নাম্বার টা দেখার যন্ত্র এই পৃথিবীতে এখনো আবিষ্কার হয়নাই সো, এইটা নরমাল । তো মনে করেন আপনি কিছু জানেন মাগার সেইটা ২ নাম্বার টায় ট্রান্সফার করা নাই, সো আপনারে কেউ সেইটার জন্য গুনায় ধরবেনা । তো, এরজন্য আপনাকে সেইটা আপনার ১ নাম্বার (আপনি যেটা জানেন) থেকে ২ নাম্বার ( মানুষ যেটা জানেন) এ ট্রান্সফার করতে হবে, আর এটাকেই ট্রান্সফরমেশন বলে ( যেই শব্দটার সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত) ।
একটা ব্যক্তিগত উদাহরণ দেওয়া যাক চলেন!
তো গান তো সবাই শুনেন, ভালোবাসেন । আমিও বাসি সেই বোঝ হওয়া বয়স থাইকা ( ৭বছর ধইরা নেন) তো সেইসময় আমার বাবার ছোট্ট একটা বাটন ফোন, সিম্ফনীর (মডেল মনে নাই) । তো, সেইটা হাতে পাইতাম আমার স্কুল শেষ করার পর, আমি রোজ স্কুল থাইকা আইসা ফোন টা লইয়া খাইতে বসতাম ( গান শুনতে শুনতে খাইতাম) গানের প্রতি নেশা আসছিল সেই সবার চিরচেনা অরিজিৎ এর গান থেকে । আমি একটা গান যে কতবার শুনেছি, হিসাব নাই (শোনা গুলা এখন এন্ড্রয়েডে ডাউনলোড দিয়া আবার একটা একটা করে শেষ করি ) । সো বুঝতেই পারছেন গান শোনা হতো খুব, তবে গান গাইতে পারতাম না । না মানে, পারতাম না এমন না, মানুষ এর সামনে পারতাম না আরকি, এছাড়া ভিতরে ভিতরে লিরিক্স খাইয়া ফেলছিলাম ( সো, ২ নাম্বার টা (মানুষ ,জানল না কিন্তু) । যার কারনে সেইটা চাপা পড়ে গেল তখন থেকেই ( শুধুমাত্র লজ্জার কারনে ) ।
এরপর অনেক বছর পরে সেইটা এক নাম্বার থেকে ২ নাম্বার এ ট্রান্সফার করার সুযোগ পেয়েছিলাম ( ক্লাস রুমে চাপে পড়ে গান গাইতে হয়েছিল আরকি ) তো, যদিও কন্ঠ ভালো না, তবে হ্যা এখন কনফিডেন্স এর সাথে গাইতে পারবো, হোক সেইটা শ, হাজার খানেক মানুষ । এখন অনেকে জানে, সেইটার জন্য রেসপেক্ট ও করে । হয়ে গেল তো ট্রান্সফরমেশন এর উদাহরণ?
এইরকম অনেক কিছু আমাদের ভিতরে রয়েছে সেইটা শুধুমাত্র ১ নাম্বার ( যেইটা আপনি নিজে দেখেন ) ওইখানে আছে । ওইখান থাইকা বেছে একটা একটা করে আপনাকে ২ নাম্বার টায় ট্রান্সফার করতে হবে । এরজন্য আপনার সবার প্রথমে আপনার একটা জিনিস লাগবে সেইটা হলো – নতুন পরিবেশ, ইউ নিড টু গেট আউট অফ কম্ফোর্ট জোন । এরপর আস্তে আস্তে নতুন গুলারে ট্রান্সফার করা, ব্যাস । এইটা সহজ না, হার্ড ( তবে ইমপোসিবল না)
ভাই কইবেন জ্ঞান না দিয়া নিজে আগে পরিবর্তন হোন, হ্যা ভাই ঠিক ধরছেন । এহনো অনেক কিছুই আগের মতোই আছে, চেন্জাইতে পারিনাই ।তো, আপনারে না ভাই নিজেরেই মোটিভেশন দিচ্ছি (শুধুমাত্র আমার ওয়ালে আপনার একসেস দেইখাই বলতে পারতেছেন ) । তো ভাই, যেইটা বললাম করতে পারলে পরে আমারে আর থ্যাংক দেয়ার দরকার নাই, ‘ইউর লাইফ উইল থ্যাংক ইউ’ !!
“অন্ধকার হওয়া জীবন মোর,
আলোর খুঁজে যাই,
সূর্য আজ ডুবে গেছে
চল, হ্যারিকেন জ্বালাই”
– তাহসান সুমন